অগ্রদৃষ্টি ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত লিওনি কুলেনারার ব্যাগ চুরির যাওয়ার ঘটনায় হইচই শুরু হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সোমবার সন্ধ্যায় ঘটে যাওয়া এ ঘটনাকে জাতীয় লজ্জা হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে দ্রুত ধরিয়ে দেয়ার দাবি ওঠেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে ‘ফ্রিডম’ শিরোনামে আলোকচিত্র প্রদর্শনী চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। তবে এটি চারুকলা অনুষদের নিজস্ব কোন অনুষ্ঠান ছিল না। সাইদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি ফেসবুকে লিখেছেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পর কম্বল বিলিতে সংকুলান সম্পর্কে বলেছিল, ‘পৃথিবীতে প্রত্যেকটি দেশ স্বাধীনতার পর পায় সোনার খনি, আর আমি পেয়েছি চোরের খনি।’ এরা তাদেরই বংশধর হতে পারে। এ লজ্জা বিশ্ববিদ্যালয়ের, এ লজ্জা দেশের।জাতিকে বহির্বিশ্বে লজ্জিত করার এই ঘটনাটাই যথেষ্ট।
চারুকলায় আয়োজিত ওই প্রদর্শনীতে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত। অনুষ্ঠান চলাকালে ভ্যানিটি ব্যাগটি রাষ্ট্রদূত লিওনি কুলেনারার হাতেই ছিল। কিন্তু মঞ্চে মোমবাতি জ্বালাতে যাওয়ার সময় ব্যাগটি চেয়ারের ওপর রেখে যান তিনি। তখনই এক যুবক তার ব্যাগটি নিয়ে যায়। কুলেনারার ব্যাগের মধ্যে দু’টি ফোন ও প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র ছিল বলে জানা গেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন চিত্রশিল্পী নিসার হোসেন অগ্রদৃষ্টিকে জানান, পুলিশ অপরাধীকে খুঁজছে। একটি ক্যামেরায় ব্যাগটি যে চুরি করেছে তার ছবিও ধারণ করা হয়েছে। সেই ছবি পুলিশকেও দেয়া হয়েছে। ওই ছবিতে খুব ভালভাবেই অপরাধীর চেহারা শনাক্ত হয়েছে। আশা করছি, পুলিশ ব্যাগটি উদ্ধারে সফল হবে।
এই মুহূর্তে সবার মুখে মুখে একটি কথাই যে, একটি মাত্র চুরি, গোটা জাতিকে বিশ্ব দরবারে করেছে চরম লজ্জিত।